Sunday, February 20, 2022

প্রাণ সঞ্চার বিষয়ে কিছু কথা

 বিষয়---প্রাণ-- সৃষ্টির বিষয়ে নাস্তিকদের ধারণা ভুল প্রমাণ---(অাল কোরঅান ও বিজ্ঞান

অনুসারে)।

বিজ্ঞানীরা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে কুরআনেই ফিরে আসল।

সূরা অানঅামঃ ৯৫--- ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻓَﺎﻟِﻖُ ﺍﻟْﺤَﺐِّ ﻭَﺍﻟﻨَّﻮَﻯ

ﻳُﺨْﺮِﺝُ ﺍﻟْﺤَﻲَّ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ ﻭَﻣُﺨْﺮِﺝُ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻲِّ ﺫَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﻠّﻪُ

ﻓَﺄَﻧَّﻰ ﺗُﺆْﻓَﻜُﻮﻥَ

"নিশ্চয়ই অাল্লাহ শস্যদানা ও বীজকে

অঙ্কূরিত করেন। নিষ্প্রাণ থেকে প্রাণের

উন্মেষ ঘটান। অাবার (দুরন্ত) প্রাণকে করেন

প্রাণহীন। এসবময় কর্তৃত্ব তো শুধু অাল্লাহর।

তারপরও কত বিকৃত। চিন্তা করে তোমাদের

মন !"

'

সূরা অাম্বিয়াঃ ৩০--- ﺃَﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﺃَﻥَّ

ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻛَﺎﻧَﺘَﺎ ﺭَﺗْﻘًﺎ ﻓَﻔَﺘَﻘْﻨَﺎﻫُﻤَﺎ ﻭَﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀ ﻛُﻞَّ

ﺷَﻲْﺀٍ ﺣَﻲٍّ ﺃَﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ---"যারা ক্রমাগত সত্য

অস্বীকার করতে চায়, তারা একবারও ভেবে

দেখেনা যে, মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুই

একত্রে ছিল? তারপর অামি এদেরকে

বিছিন্ন (পৃথক) করলাম; অার অামি পানি

থেকে সকল প্রাণের উন্মেষ ঘটালাম। এর

পরেও কী ওরা সত্য স্বীকার করবে না।" '

সূরা নূরঃ ৪৫----- ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻠَﻖَ ﻛُﻞَّ ﺩَﺍﺑَّﺔٍ ﻣِﻦ ﻣَّﺎﺀ ﻓَﻤِﻨْﻬُﻢ ﻣَّﻦ

ﻳَﻤْﺸِﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﻭَﻣِﻨْﻬُﻢ ﻣَّﻦ ﻳَﻤْﺸِﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺭِﺟْﻠَﻴْﻦِ ﻭَﻣِﻨْﻬُﻢ ﻣَّﻦ

ﻳَﻤْﺸِﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﺭْﺑَﻊٍ ﻳَﺨْﻠُﻖُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺎ ﻳَﺸَﺎﺀ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ

ﻗَﺪِﻳﺮٌ

"আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি

দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভর

দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে

এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে;

আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই

আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।"

এখানে, পয়েন্ট--- ১)---"নিষ্প্রাণ থেকে

প্রাণের উন্মেষ ঘটানো" ২)----"সকল প্রাণের

উন্মেষ ঘটালাম" ৩)-----"অাল্লাহ প্রত্যেক

চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন

এবং প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণী পৃথকভাবে

সৃষ্টি"

আধুনিক বিজ্ঞান তার গবেষণালদ্ধ ফলাফল

থেকে বলছে---প্রথম প্রাণকোষ সম্ভবতঃ

প্রোক্যারিওট প্রজাতির এককোষী প্রাণী,

এই গুলো প্রধানতঃ ব্যাকটেরিয়া জাতীয়

এককোষী জীব। এদের দেহাভ্যন্তরে

যাবতীয় পদার্থ পানিতে দ্রবনীয়। এদের

পুরানো ফসিল যা বিভিন্ন মহাসাগরের

তীরে পাওয়া গেছে আর তা পরীক্ষা করে

দেখা গেছে এদের অভূদ্বয় ঘটেছে তিনশত

পঞ্চাশ কোটি বছর আগে যখন মাত্র পৃথিবীর

বহিঃত্বক সৃষ্টি হয়েছিল অর্থাৎ পৃথিবী

সৃষ্টির একশত কোটি বছরের মাথায় ।

এদেরকে অদ্যাবধি প্রথম প্রাণকোষ

হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অবশ্য

বিজ্ঞানের কাছে এটাই শেষ কথা নয়....

কারণ---এর পরেও নতুন কোন তথ্য আসতে

পারে....

লক্ষ্যণীয় বিষয় হল---বিজ্ঞান কিছুকাল

পূর্বে যে তথ্য দিয়েছে.....আজ তা

পরিবর্তিত হয়ে অাবার--নতুন তথ্যের

অবতারণা করছে.....

যেমন-----একসময়, আমরা জানতাম--- পৃথিবীর

আদিম প্রাণকোষ হল এমিবা... এমিবা

থেকে বিবর্তনের ধারায় সকল প্রাণী সৃষ্টি

হয়েছে.....

কিন্তু এখন বিজ্ঞানের সেই ধারা বহাল

নেই। মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কেও বিজ্ঞানের

কালজয়ী তত্ত্ব বিগব্যাঙও আজ ফিকে হয়ে

গেছে...

অধিকাংশ বিজ্ঞানীরাই এখন বলছেন---

মহাজাগতিক বস্তু নিলয় সৃষ্টিতে শক্তি

রূপান্তরিত হয়ে পদার্থের রূপ নিচ্ছে....

যাকে বিজ্ঞান বলছে কৃষ্ণ শক্তি থেকে

কৃষ্ণ পদার্থ হয়ে জাগতিক পদার্থের রূপ

নিচ্ছে.....

এক সময়কার ডারউইন তত্ত্ব মানুষ ভুলতে

বসেছে...

আজকের বিজ্ঞানীরা একবাক্যে বলছেন

যে, প্রানকোষের উৎপত্তিস্থল পানি অর্থাৎ

পানি ও কাঁদার সঙ্গম স্থলই প্রাণকোষ

সৃষ্টির উত্তম স্থান.....

কারণ---- প্রথমতঃ জীবেোকাষ তৈরীর

যাবতীয় উপাদানের মধ্যে ৭০-৮০ ভাগই

পানি, অবশিষ্ট উপাদানের অধিকাংশই

কাঁদামাটিতে উপস্থিত....

বিজ্ঞানীগণ আরও বলছেন যে---কাঁদা

মাটিতে বিভিন্ন RNA দেখা যায়। তা হলে--

বলা যায় যে, কাঁদা মাটি RNA ও DNA--এর

সূঁতিকাগার....

প্রাকৃতিক নির্বাচনেই হোক আর কোন

নির্দেশেই হোক এ কথা পরিস্কার যে---

প্রাণকোষ পানি ও কাঁদা থেকে উৎপত্তি

হচ্ছে। এই বিষয়টা পরীক্ষা পর্যোবেক্ষণ

থেকে পরিস্কার হয়েছে একবারেই আধুনীক

বিজ্ঞানীদের হাতে...

আজ থেকে ৫০ বছর আগেও ক্ষোদ

বিজ্ঞানের কাছেই এই তথ্য ছিলনা। এবার

যদি আমরা উপরের আয়াতগুলোর দিকে

তাকাই, তবে---দেখতো পাব...আজ থেকে

১৪০০ বছর আগে এই সকল বৈজ্ঞনীক তথ্য

পবিত্র কোরআনের পাতায় মুদ্রিত হয়ে

আছে...

নাস্তিকরা বলে---- নবী মোহাম্মদ তখনকার

দিনের জ্ঞনী লোকদের নিয়ে

পরামর্শক্রমে কোরআন রচনা করেছেন....

উপরের পয়েন্টগুলো [১,২ ও ৩] লক্ষ্য করুন----

প্রাণী কোষ বিশ্লেষণ করে মানুষ

সবেমাত্র জানতে পেরেছেন যে, কোষের

সকল উপাদানই অজৈব পদার্থ। ফলে

তার্কিকদের/নাস্তিকদের---এই দাবী

সম্পূর্ণই অমূলক.....।

পরবর্তী আয়াত থেকে পরিস্কার বুঝা

যাচ্ছে যে---- সর্বশেষ বৈজ্ঞানীক মতামতও

তাই বলছে যে, পৃথিবীর সকল প্রাণীর

পূর্বপুরুষ একটিমাত্র প্রাণী নয় অর্থাৎ

বিজ্ঞানীরা তাদের পূর্বের ধারণা থেকে

সরে এসেছেন , তারা বলছেন, এককোষী

প্রাণী এমিবাই সকল প্রাণীর পূর্ব পুরুষ নয়;

মূলত বিজ্ঞান, কে কার পূর্বপুরুষ এই

ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তই নিতে পারছেনা

,কারণ বিজ্ঞান আসমানী কোন বাণীর উপর

নির্ভর করেনা, পরীক্ষা নীরিক্ষা করে

যুক্তির উপর অনুমান করে বলে থাকেন; তারা

বিভিন্ন প্রজাতিগুলোর মধ্যে বৈশিষ্টের

মিল, আঙ্গিক গঠন, আয়ুষ্কাল ইত্যাদি ডি এন

এ পরীক্ষা থেকে পূর্বপুরুষ সনাক্ত করেন;

কিন্তু এ সকল ধারণাকে শতভাগ বিশুদ্ধ বলে

নিশ্চয়তা দিতে পারেননা, কারণ---DNA---তে

কে, কার পূর্ব পুরুষ তা লিখা থাকেনা বলে

প্রমাণ দিতে পারেনা....

ফলে--এককালে যাকে পূর্ব পুরুষ হিসেবে

আখ্যায়িত করেন, পরে তা পরিবর্তীত হয়ে

যায়। বেশীরভাগ আধুনিক বিজ্ঞানীরাই

বলছেন, গোত্র গুলো আলাদা আলাদাই সৃষ্টি

হয়েছে তবে বিবর্তন তাদেরকে বিভিন্ন

প্রজাতিতে বিভক্ত করেছে। সরিসৃপ যে

মানুষ হয়ে উঠেছে তা স্বীকার করতে

দ্বিধা করছেন...

DNA--পরীক্ষায় ৯৯% ভাগ মিল পাওয়ার

পরেও বাণরকে মানুষের পূর্ব পুরুষ বলতে

নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না... অার--প্রত্যেক জীব

অালাদা করে সৃষ্টি হয়েছে...বিজ্ঞানীরা

সেই রকমই ধারণা দিচ্ছে...

No comments:

Post a Comment

হযরত ঈসা (আঃ) ও তৎকালীন ইহুদী ধর্ম নেতাদের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস #ঈসা (আঃ) #ইয়াহুদী #ধর্মগুরু

 হযরত ঈসা (আঃ) ও তৎকালীন ইহুদী ধর্ম নেতাদের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  #ঈসা (আঃ) #ইয়াহুদী #ধর্মগুরু https://www.facebook.com/100064457120976/pos...