Saturday, February 19, 2022

মানুষের নৈতিক ব্যর্থতা

 মানুষের নৈতিক ব্যর্থতা কি কারণে ...?

আত্মা কি .......?

নাফ্স কি ۔۔۔۔۔۔۔۔?

স্রষ্টা কি ...........?

মৃত দৈহিক সত্ত্বার আত্মাসহ Live recycling process হবে কিভাবে ......?

জাহান্নামের আযাব কার্যকরী হবে কিভাবে !?

________________________________________


মানুষের নৈতিক ব্যর্থতা কি কারণে ...?

**********************************


মানুষ , স্রষ্টা ছাড়া যদি ভালো থাকতে পারতো - তাহলে স্রষ্টায় বিশ্বাসী না হলেও চলতো !

মানুষের ভালো না থাকার এই ব্যর্থতা কি কারণে !?

গবেষণা করে দেখুনঃ এটা স্রষ্টায় বিশ্বাসী না হওয়ার অনিবার্য পরিণতি !!!


মানুষের মধ্যেকার সমস্ত ভালো গুণ

কেবল বিচার কেন্দ্রিক পরকালীন জীবনে বিশ্বাসী হওয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা লাভ করে !!!

মানুষের মধ্যে এই কার্যকারণ রেখেই

স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন !!!


এই কারণে

স্রষ্টা ছাড়া

কেবল নিজের চেষ্টায়

মানুষ ভালো থাকতে পারছে না ///


এই পৃথিবীর জড় জীব বৈচিত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই - শুধু মানব জীবন যাপনে হতাশা বিশৃঙ্খলা ! এটা স্রষ্টা নির্ধারিত আইন না মানার পরিণতি


আত্মা কি .......?

মন - শারীরিক সত্ত্বা - আত্মা নিয়ে কথা --

*************************************

মনে মনে কল্পনা করুন একটি হিংস্র জন্তু আপনাকে তাড়া করেছে - আপনি প্রাণপনে বাঁচার জন্য দৌড়াচ্ছেন .......

কিন্তু আপনি দৌড়ে পারলেন না - হিংস্র জন্তু আপনাকে আক্রমণ করে বসলো ..........

এই অবস্থায় আপনার মানসিক অবস্থা কেমন তা মনে রাখুন /


দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ : যদি সত্যি সত্যি কোনো গহীন জঙ্গলে আপনি এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হন , তাহলে তখন আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন হবে !? এটাও মাথায় রাখুন /


এবার আপনি স্বপ্নের জগতে আসুন ....

আপনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন --

স্বপ্নে দেখছেন এক হিংস্র জন্তু আপনাকে তাড়া করেছে - আপনি প্রানপনে দৌড়াচ্ছেন .....কিন্তু পা যেন চলছেনা ...প্রচন্ড ভীতি ও আতঙ্ক আপনাকে গ্রাস করেছে .....হিংস্র জন্তু আপনাকে আক্রমণ করবে - এমনি মুহূর্তে আপনার ঘুম ভেঙে গেল ......

আপনি জেগে দেখলেন আপনার সর্বাঙ্গ ঘামে ভিজে গেছে ..হৃদপিন্ড দ্রুত গতিতে চলছে ...পা নেড়েচেড়ে দেখলেন - নাতো পা ঠিকই আছে ! যাক বাঁচা গেলো !!!....তাহলে এটা স্বপ্ন ছিলো !!!


এই তিনটি উদাহরণ বিশ্লেষণ করলে আমরা তিন ধরণের MIND গত অবস্থা পাই .....


1) চিন্তা / কল্পনা করার শক্তি 

2) শারীরিক ও মানসিক শক্তির সমন্বয়ে ভীতি ও আতঙ্কের এক মিশ্র অবস্থা 

3) আত্মার এক অদ্ভুত ধরণের শারীরিক সংবেদনশীলতা !!! যা স্বপ্নের মধ্যে আত্মা অনুভব করেছে এবং যার প্রকৃতি ঘুম থেকে জেগে উঠার পর শারীরিক সংবেদনশীলতা থেকে একদম ভিন্ন !!!!!!!!


এই তিনটি অবস্থা যদি সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করা হয় - তাহলে আত্মাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই ........


এরপরও যদি কোনো ব্যক্তি বলে - রূহ কিংবা আত্মা বলে কিছু নেই .....তাহলে সে চোখ থেকেও অন্ধ !!!


কবরের জগতের তুলনা হচ্ছে -

--------------------------------------------------

সেই ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের মতো,

যেই স্বপ্ন দেখার সময় মৃত্যু ঘটে যায়,

আর আত্মা দেহে প্রত্যাবর্তন করতে পারেনা,

ফলে স্বপ্নটি কবরের জগতে রূপ নেয় আর

পৃথিবীতে পড়ে থাকে মৃতদেহ !!!!

----------------------------------------------

কি অবিশ্বাসীরা দুনিয়া থেকে কবরের জগতে

-----------------------------------------------------------

যাওয়ার ব্যাপারটি বোঝা গেলো "তো !?

-------------------------------------------------------------

স্বপ্নে যখন দেখবেন মৃত্যুর ফিরিশতা আপনার

--------------------------------------------------------------

আত্মাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে,তখন কি করবেন !?

---------------------------------------------------------------


মরে গেলে.........সব শেষ নয় !!!!

মরে গেলে আত্মার জগৎ শুরু হবে !!!

আত্মার জগতে ট্রান্সফার তথা

"বদলি" হওয়া মাত্র মানুষ জেনে যাবে ,

সে কি নিয়ে অদৃশ্য জগতে হাজির হয়েছে !!!!

এটাকেই বলে আলমে বরযখ

তথা কবরের জগৎ !!!

স্বপ্নের জগতে আত্মা সবকিছু বুঝতে পারে দৈহিক সত্ত্বা ছাড়াই !!!

কবরের জগতে আত্মা সবকিছু বুঝতে পারবে দৈহিক সত্ত্বা ছাড়াই !!!


মানুষ প্রতিনিয়ত

স্বপ্নের জগতে "হাজিরা" দিয়ে

ঘুম ভেঙে বার বার বস্তু জগতে ফিরে আসে !!!

তারপরও তার হুঁশ হয়না....

স্বপ্নের জগতে থাকা অবস্থায়

যদি তার ঘুম আর না ভাঙে !!!

অর্থাৎ স্বপ্নকালীন ঘুমের মধ্যে

যদি তার মৃত্যু ঘটে যায় ......!!!

কিংবা যদি সে স্বপ্নে দেখে মৃত্যুর ফিরিশতা এসে তাকে ধরে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে যাচ্ছে .....!!!

তখন সে কি করবে ...............................!!!???

তাহলে"কি স্বপ্নের জগৎ তথা

বার বার "হাজিরা" দেয়ার জগৎ..........

কবরের জগৎ হয়ে যাবে !!!!!?????


মানুষ যদি সত্যিকার অর্থেই পরকালে বিশ্বাসী হয় - তাহলে সমাজে অনাচার দুরাচার কিছুই থাকতে পারে না / এখন সমাজের অনাচার দুরাচারের জন্য যদি ধর্মান্ধতা সাম্প্রদায়িকতা মৌলবাদ কে দায়ী করা হয় - তাহলে বুঝতে হবে বিশ্বাসের আবরণে অবিশ্বাসীরাই এইসকল অপকর্মের নেপথ্যের কারণ !!!

.....শুধু শুধু ধর্মকে এবং ধার্মিকদেরকে দোষারোপ করা পরিহার করতে হবে ///


*********নাফ্স কি?*******


মননশীলতাকে আল কুরআনে " নাফ্স " বলা হয়েছে /

এই হিসেবে মানুষের সত্ত্বা তিনটি :

দৈহিক সত্ত্বা 

আত্মা 

নাফ্স /

স্বপ্নের জগৎ কিংবা কবরের জগৎ হচ্ছে : আত্মা ও নাফ্স এর সম্মিলন /

নাফ্স আবার তিন রকমের /

1) সর্বসময় পুণ্যের উপর স্থিতিশীল নাফ্স 

2)সর্বসময় পাপের উপর স্থিতিশীল নাফ্স 

3) কখনো পুন্য আবার কখনো পাপের উপর বিচরণশীল নাফ্স


একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র ইলেক্ট্রিসিটি ছাড়া মৃত !

ঠিক তেমনি দৈহিক সত্ত্বা আত্মা ছাড়া মৃত /

ইলেকট্রিসিটি চোখে দেখা যায়না - কিন্তু যান্ত্রিক সচলতা চোখে দেখা যায় !

ঠিক তেমনি আত্মা চোখে দেখা যায়না কিন্তু দৈহিক সচলতা চোখে দেখা যায়


জীবিত অবস্থা দুই ধরণের :

একটা হচ্ছে দৈহিক সত্ত্বা নিয়ে জীবিত অবস্থা --

আরেকটা হচ্ছে দৈহিক সত্ত্বা ছাড়াই

অশরীরী মননশীল জীবিত অবস্থা !

যার প্রকৃতি কেবল স্বপ্নের মধ্যে অনুধাবন করা যায় !!!

স্রষ্টা মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর ব্যবস্থা সম্ভবত এই কারণেই রেখেছেন - যাতে মানুষ দৈহিক সত্ত্বা ছাড়াই অশরীরী মননশীল জীবিত সত্ত্বা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে ///


কবরের জগতে মানুষ বুঝতে পারবে সবই - কিন্তু দৈহিকভাবে তার কিছুই করার ক্ষমতা থাকবেনা !!!


মনে মনে কল্পনা করুন সেই সময়ের কথা 

যখন মানুষ শারিরীকভাবে মরে যায় - আর মননশীলতা কে আত্মা সঙ্গে করে নিয়ে যায় !!!


স্রষ্টা কি ...........?

****************


" মৃত্যুর পূর্বে অনেক মানুষ স্রষ্টার স্বীকারোক্তি দেয় "....................

এতে এটাই প্রমাণ করে , স্রষ্টাই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং স্রষ্টা , সৃষ্টির কাছ থেকে মৃত্যুর পূর্বে স্রষ্টার স্বীকারোক্তি আদায়ও করে নিচ্ছেন !!! কিন্তু মানুষ জীবিত থাকা অবস্থায় - এটা জ্ঞান দিয়ে বিবেক দিয়ে অনুধাবণ করছেনা !!!

- বিষয়টি চমকে দেয়ার মতো !!!

কিন্তু মানুষ বড়ই অসতর্ক !!!


পৃথিবীতে এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সরাসরি প্রমাণ করা যায়না - কিন্তু যুক্তি ও বাস্তবতা দিয়ে তাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় - এই নীতি যারা মানে না , তারা কোনোদিনই

" অদৃশ্য সত্য " বিশ্বাস করতে পারে না /


এই পৃথিবীর সত্য সমূহ আপেক্ষিক নয় - বরং অ্যাবসলিউট তথা পরম সত্য /


Truth is not relative , Truth is absolute !!!


এর আরেক অর্থ : দৃশ্যমান সত্যের অগ্র পশ্চাতে আছে - অদৃশ্য সত্য !!!


অগ্র পশ্চাতে অদৃশ্য সত্য না থাকলে - মধ্যখানে নিরেট সত্যের দৃশ্যমান উপস্থিতি কিভাবে সম্ভব হলো !?


সৃষ্টিকর্তা সত্য /

কুরআন সত্য /

বিজ্ঞান যখন জটিল বিষয়ে

কুরআনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় ,

তখন অবিশ্বাসীদের অবিশ্বাসের ভিত্তি

নড়ে যায় !!!!!


যেমন -----------------------------------------------------


বিজ্ঞান বলছে :


সবকিছু শূন্য তথা vacuum state তথা অস্তিত্বহীন বস্তুজগত তথা no existence of any previous matter অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছে -

(তথ্য সূত্র : A Universe from nothing - L.M.krauss )

--------------------------------------------------------------

কুরআন বলছে ,


স্রষ্টা বললেন , " হও - আর অমনি হয়ে গেলো " - অর্থাৎ নির্দেশের সাথে সাথে শূন্য তথা no existence of any previous matter অবস্থা￰ থেকে বস্তু জগত তথা world of matter দৃশ্যমান হলো অর্থাৎ শূন্য অবস্থানের আগে হুকুমকারী সত্ত্বার অস্তিত্ব ছিলো , এই হুকুমকারী সত্ত্বাই হচ্ছেন - আল্লাহ ইলাহ তথা স্রষ্টা আল্লাহ /

'' এভরিথিং ওয়াজ ক্রিয়েটেড বাই হুকুম অফ ইলাহ আল্লাহ ফ্রম নো এক্সিস্টেন্স অফ এনি প্রিভিয়াস ম্যাটার ........

অন্যদিকে বিজ্ঞান বলছে - everything was created from zero existence of any previous matter .


তাহলে দেখা যাচ্ছে - বিজ্ঞান স্রষ্টার কাছাকাছি

--------------------------------------------------------------

পৌঁছে গেছে , বাকীটা বিশ্বাস নির্ভর সিদ্ধান্ত /

-------------------------------------------------------------

আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে , নবী 

-------------------------------------------------------------

রিসার্চ মূলক এই বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং স্রষ্টার 

---------------------------------------------------------------

পরিচিতি একই সাথে দিলেন কিভাবে !?

---------------------------------------------------------------

এতেই বোঝা যায় , সৃষ্টিকর্তা সত্য , ফিরিশতা সত্য , নবী সত্য .......///


নাস্তিকেরা বহুত কষ্ট করে ঈশ্বর কণা পর্যন্ত পৌঁছে বলছেন - স্রষ্টা আবার কি !?

অথচ কুরআন বলছে স্রষ্টা বললেন "হও" - আর অমনি তা সৃষ্টিরূপে দেখা দিলো ! 

খেয়াল করুন .........স্রষ্টা বললেন হও - অর্থাৎ সৃষ্টির পূর্বেই.... মননশীলতায় স্রষ্টার নির্দেশ "হও"!


এই হুকুমের আরেকটি রূপ হচ্ছে ............রূহ !


স্রষ্টা হুকুম করলেন "হও" আর অমনি শূন্য থেকে matter বিশ্বজগৎ দৃশ্যমান হলো -

এটাই কি big bang !!!??


তারপরও প্ৰশ্ন আসে এই matter তথা বস্তুজগতে creative mind ও জীবনের উৎপত্তি আসলো কোথা থেকে !?


..........বস্তুত এটাই স্রষ্টার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে !!!


কুরআনের আয়াতে ভ্রূণতত্ত্ববিদ্যা ও

সৃষ্টিকর্তা সত্য হওয়ার প্রমাণ !!!

-------------------------------------------------------------

সূরা আত ত্বরিক 5-7 নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক বলছেন :


" মানুষকে তার আপন সত্ত্বার প্রতি লক্ষ্য করা উচিত যে, সে কোন জিনিস থেকে পয়দা হয়েছে ?

সে পয়দা হয়েছে স্ববেগে নির্গত এক পানি থেকে -

যা পিঠ (মেরুদণ্ড) ও বক্ষঅস্থির (পিঞ্জরাস্থি তথা rib cage এর) মাঝখান থেকে বেরিয়ে আসে l "


এখানে স্ববেগে নির্গত এক পানি বলতে নরের বীর্য "কে বুঝানো হয়েছে - যে বীর্য বের হয়ে থাকে অণ্ডকোষ থেকে .......আর সেই অণ্ডকোষের অবস্থান বলা হয়েছে - পিঠ(মেরুদণ্ড)ও বক্ষঅস্থির(পিঞ্জরাস্থির) মাঝখান !!!


মেডিক্যাল সাইন্স এর Embryology বলে -

মাতৃগর্ভে নর শিশুর প্রাথমিক অণ্ডকোষ থাকে উপরোক্ত অবস্থানে .....

পরে নর শিশু যখন মাতৃগর্ভে পূর্ণরূপ ধারণ করে - তখন তা অণ্ডথলিতে নেমে আসে....


অনেক সময় দেখা যায়

জন্মের সময় নর শিশুর অণ্ডকোষ অণ্ডথলিতে থাকে না -

উপরে থাকে ....রানের ভাঁজে থাকে...... কিংবা প্রাথমিক অবস্থান থেকে

নীচের দিকে , যে কোনো এক অবস্থানে থাকে


পরে জন্মের পর অপারেশনের মাধ্যমে অণ্ডকোষকে অণ্ডথলিতে সংস্থাপন করা হয়.....


এখন প্রশ্ন হলো ...

মুহাম্মাদ (সাঃ) এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানলেন কি করে !?


এতেই বোঝা যায় - তিনি স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রেরিত বার্তাবাহক (নবী).....


সৃষ্টিকর্তা আল্লাহপাক সত্য , এটাই তার প্রমাণ !!


********************************************

বিজ্ঞানের আলোকে 

পারলৌকিক জীবনের ব্যাখ্যা :

Recycling Process ♻♻♻♻♻♻

--------------------------------------------------------------

দুনিয়ার প্রাকৃতিক আইনে আমরা দেখি -

আগুণে দেহের চামড়া পুড়ে যায় /

কিন্তু আখিরাতের প্রাকৃতিক আইনে 

জাহান্নামের আগুণে

চর্ম পুড়ে যাওয়ার পর সেই পোড়া চর্মের recycling হবে !!! ♻♻♻

আবার চামড়া পুড়বে

আবার চামড়ার recycling হবে !!! ♻♻♻

.

হাশরের দিবসে মানব দেহের Recycling Process তথা পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি !! ♻♻♻♻♻♻♻♻♻♻♻♻♻♻

--------------------------------------------------------------

'' ওরা বলে , আমরা অস্থিতে পরিণত ও চূর্ণ বিচূর্ণ হলেও কি - নতুন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হবো !? বলো , ' তোমরা হয়ে যাও পাথর ! কিংবা লোহা! অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় খুব ই কঠিন , তারা বলবে ' কে আমাদেরকে পুনরুত্থিত করবে '!? বলো , ' তিনি ই , যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন .....''

সূরা বনী ইসরাইল: ( 49 - 51 ) আয়াত সমূহ /


এই দৈহিক সত্ত্বার প্রত্যাবর্তনে আবারও আত্মিক সত্ত্বার সংযোগ ঘটবে !!!


মানুষ তার উৎপাদিত পণ্যের recycling করে - তবে এটা inert recycling...

স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির live recycling করবেন এতে মানুষ কেন সন্দেহ প্রকাশ করবে !?


জাহান্নামে অপরাধীদের উপর শাস্তির স্বরূপ !!!!!

এখানেও Recycling process !!! ♻♻♻♻

-------------------------------------------------------------

''যারা আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করবে -তাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই অগ্নিতে দগ্ধ করবেন / যখন তাদের চর্ম আগুনে লাল হয়ে দগ্ধ হয়ে যাবে -তখন ই তদস্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি হবে - যাতে করে তারা শাস্তি ভোগ করতে পারে / নিশ্চয় ই আল্লাহ পর্যক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় '' -- (সূরা নিসা - আয়াত 56 )...….....


উল্লেখ থাকে যে চর্মে ব্যথার অনুভূতি (pain receptor ) কেবল চর্ম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ /

চর্মের নীচের স্তরে (pain receptor ) নেই বলে ব্যথার অনুভূতিও নেই / এজন্য শাস্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকতে হলে পুড়ে যাওয়া চর্মের recycling হতে হবে - উপরের আয়াতে জাহান্নামের আগুণে আযাব চলাকালীন সময়ে - সেটাই ঘটবে বলে বলা হচ্ছে //


এখন প্রশ্ন হলো : চর্মের pain receptor সংক্রান্ত এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নবী কুরআনে দিলেন কি করে !!!!

এতেই বুঝা যায় মানুষের স্রষ্টাই কুরআন নাযিল করেছেন /


লক্ষ্য করুন , উপরের আয়াতে জাহান্নামের আযাবকে পৌনঃপুনিকভাবে কার্যকরী রাখার নিমিত্তে দৈহিক সত্ত্বার recycling process এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে /.......উপরের আয়াতে চর্মের recycling process এর উল্লেখ করা হয়েছে /

Recycling process এর কারণেই জাহান্নামে মৃত্যুর নাম নিশানা থাকবে না........

অপরাধের ধরণ অনুসারে শাস্তির প্রক্রিয়া কার্যকরী হতে থাকবে , মৃত্যুর নাম নিশানা থাকবে না ///


আত্মিক সত্ত্বাসহ মৃত দৈহিক সত্ত্বার

live recycling process এবং জাহান্নামে আযাব কার্যকরী রাখার নিমিত্তে চর্মের Live recycling process - সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসের বিষয় -


অতএব

আত্মাসহ মৃত দৈহিক সত্ত্বার Live Recycling Process হচ্ছে

স্রষ্টা ও আখিরাত কেন্দ্রিক বিশ্বাসের

একদম গোড়ার কথা


________________________________________

No comments:

Post a Comment

হযরত ঈসা (আঃ) ও তৎকালীন ইহুদী ধর্ম নেতাদের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস #ঈসা (আঃ) #ইয়াহুদী #ধর্মগুরু

 হযরত ঈসা (আঃ) ও তৎকালীন ইহুদী ধর্ম নেতাদের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  #ঈসা (আঃ) #ইয়াহুদী #ধর্মগুরু https://www.facebook.com/100064457120976/pos...