Saturday, February 19, 2022

ভ্যালেন্টাইন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব মহাপবিত্র কুরআনুল কারীম

 Valentine অর্থ কি?---

ভালোবাসা ? কোন dictionary তে পেয়েছেন? এখনই চার্চ দেন ৷ দেখেন তো পান কি?

কখোনো না ৷ কারন কোনো dictionary তে valentine অর্থ দেয়া নেই ৷ তবে যদি valentine অর্থ ভালোবাসা হয় তাহলে কতজন ছেলে মেয়ে একে অন্য কে এইটা বলেছে যে i valentine you ? এখন বলেন --

,

কিন্তুু valentine day অর্থ ভালোবাসা দিবস ৷ কিভাবে? অযথা, ,,

মনে রাখতে হবে এটা মুসলিম নিধন করার একটি চাল ৷

আসুন জেনে নিই এই

valentine day কি করে আসলো ৷

,

খৃষ্টীয় এক পাদ্রী ৷ কখনও কখনও গীর্জার মাঝেই ধর্ষন করে - আবার কখনও কখনও নারী বৈরাগ্যবাদীদের সাথে গড়ে তোলে অবৈধ সম্পর্ক।

.

বৈধ সম্পর্ক বিয়ের ধার না ধারলেও অবৈধ প্রেমেই জীবন কাটায় সে ৷

.

এমনই এক পাদ্রী হলো ভ্যালেন্টাইন। যাকে এক রাজা গ্রেফতার করে জেলে বন্দি করে রাখে। আর কারাগারের কারারক্ষির অন্ধ মেয়ের সাথে গড়ে তোলে অবৈধ সম্পর্ক এই পাদ্রী।

.সব কিছু জানার পর তাকে ফাসি দেয়া হয় ৷ কারন ইসলামের মত প্রতিটা ধর্মেই জিনা ব্যাভিচার কে কবীরা গুনাহ বলা হয়েছে ৷ কোনো ধর্মই জেনা কে সাপোর্ট করে না ৷

তারপর ঐ পাদ্রীর মৃত্যুর পর তার শিষ্য রা মিলে এই দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখতে চায় ৷ তারপর

এই দুশ্চরিত পাদ্রীর স্মরনেই ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে 'ভ্যালেন্টাইন'স ডে' নামে পালন করা হয়। ঘোষনা করেন পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস।

.

উইকিপিডিয়াতে ভ্যালেন্টাইনস ডে কে বলা হয়েছে একটি খ্রিস্টীয় সংস্কৃতি হিসেবে।

.

আর এই দিনের সাথে ভালোবাসার নুন্যতম কোনো সম্পর্ক বিদ্যমান নেই। এই দিনটাই উৎযাপন হয় এক দুশ্চরিত্র খ্রিস্টান পাদ্রীর স্মরনে। যাদের জীবনে পবিত্র ভালোবাসা বলে কিছুই নেই। তারা জীবনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় না। যাদের জীবনই কাটে অবৈধ প্রেম আর শারিরিক সম্পর্কের মাঝে। তেমনি একজন পাদ্রীর স্মরনে পালন করা ভালোবাসা দিবস এটা হাইস্যকর।

.

একজন মুসলিম এর জন্য এই দিবস পালন করার মতো লজ্জাজনক কোনো ঘটনা হতেই পারে না।

.

খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি একজন মুসলিম হয়ে কিভাবে পালন করি?? তাও একজন পাদ্রীর স্মরনে?

.

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ﺃَﺑْﻐَﺾُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺛَﻼَﺛَﺔٌ : ﻣُﻠْﺤِﺪٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﺤَﺮَﻡِ ، ﻭَﻣُﺒْﺘَﻎٍ ﻓِﻲ ﺍﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺳُﻨَّﺔَ ﺍﻟﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ، ﻭَﻣُﻄَّﻠِﺐُ ﺩَﻡِ ﺍﻣْﺮِﺉٍ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣَﻖٍّ ﻟِﻴُﻬَﺮِﻳﻖَ ﺩَﻣَﻪُ

আল্লাহর নিকট তিন শ্রেণীর লোক সবচেয়ে বেশী ঘৃণিত – ১ম শ্রেণী হচ্ছে, যারা হারাম শরীফের মধ্যে কুফরী কার্যকলাপ করে। ২য় শ্রেণী হচ্ছে, যারা ইসলামে থাকা অবস্থায় (মুসলমান হয়েও) জাহিলিয়্যাতের রীতি–নীতি ও আদর্শ (কাফের মুশরিকদের অনুকরণ–অনুসরণ) পালন করে। ৩য় শ্রেণী হচ্ছে, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো রক্ত প্রবাহিত করে। (বুখারী ৬৮৮২ দিয়াত অধ্যায়)

.

বিজাতির অনুসরণ সম্প্রর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরন করবে সে ব্যক্তি সে জাতির মধ্যে গণ্যহবে। (আবু দাউদ ৩৫১২)

.

একটু চিন্তা করো হে যুবক- একজন দুশ্চরিত্র পাদ্রীর স্মরনে উৎযাপিত দিবস পালন করে তার অন্তর্ভুক্ত হবা নাকি নিজের ইমান আমল সুরক্ষিত রাখার জন্য এসব পশ্চিমা সংস্কৃতি বর্জন করে মুসলিম থাকবা?

,

. valentine day পালনকারী কোনো মুসলিমের বাচ্চা হতে পারে না ৷ কোনো মুসলিম এমন কাজ কে সাপোর্ট করতে পারে না ৷ বাংলাদেশের মুসলিম তোমরা কোথায়? আজ তোমাদের দ্বীন কোথায়? নিজেকে মুসলিম বলতে, নিজেকে মুসলমানের সন্তান বলতে তোমার একটুও লজ্জা লাগে না ৷ হারাম কাজ কর আবার হারাম কাজ উদযাপন ও কর ৷ মাথা ঠিক আছে তো? মনে রাখবা valentine day কোনো ভালোবাসা দিবস নয় ৷ এটা হলো বিশ্ব জেনা দিবস ৷ এই মুহুর্তে ফিরে এসো তওবা কর যদি তুমি মুসলমানের বাচ্চা হও ৷ যদি তুমি আল্লাহ কে চেন ৷ আল্লাহর কসম তোমাকে এই কাজের জন্য কিয়ামতের দিন হিসেব দেয়া লাগবেই লাগবে ৷ তখন কই যাবা? ? আল্লাহ কে ভয় কর ৷

.

#ভ্যালেন্টাইনস_ডে_বর্জন_করুন

#এটা_মুসলমানদের_সংস্কৃতি_না ৷

এটা কে না বলুন ৷

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন ৷

No comments:

Post a Comment

হযরত ঈসা (আঃ) ও তৎকালীন ইহুদী ধর্ম নেতাদের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস #ঈসা (আঃ) #ইয়াহুদী #ধর্মগুরু

 হযরত ঈসা (আঃ) ও তৎকালীন ইহুদী ধর্ম নেতাদের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  #ঈসা (আঃ) #ইয়াহুদী #ধর্মগুরু https://www.facebook.com/100064457120976/pos...